দুঃখহরা তোমারই আমি

নাসির আহমেদ কাবুল

 

প্রজাপতির সঙ্গে যখন সখ্য হলো,

তখন সানাইয়ে রাতভর

বাগেশ্রী আর দরবারি কানাড়ার আলাপে

মন গলে যেত।

ভানুসিংহের পদাবলি বুকে চেপে

ঘুমের ঘোরে

কবিগুরুর সাথে দেখা হতো;

নজরুল তাঁর

ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে

বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি’

শুনিয়ে যেতেন;

চখাচখির কষ্টে বুক ভার হতো

তখন আমার।

 

মৌমাছির সাথে সখ্য হলো,

তার পর—পর

আমি তোমার ঠোঁটের জন্য

তৃষ্ণাতুর হলাম;

আরো কত কী পেতে ইচ্ছে হলো!

অথচ আমি যেন

শুষ্ক—বিশুষ্ক ফুলে সকাতর মধুকর!

যেন মরূদ্যানে পথহারা বেদুইন

কেউ নেই আমার...

না তুমিও!

 

মাকড়শার জালে জড়িয়ে গেলাম অতঃপর!

আমার কণ্ঠে তখন শুধু গরল জমা হতে—হতে

কখন যেন নীলকণ্ঠ হয়ে গেলাম!

কখন যেন তোমার সব দুঃখ হরণ করে

তোমারই হয়ে গেলাম আমি!
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url