কবি পলাশ ভালোবাসত
নাসির আহমেদ কাবুল
লেখার টেবিলটা খুব বেশি এলোমেলো
ধুলো জমে আছে বইয়ের তাকে;
শার্টগুলো বিছানায় গড়াগড়ি যায়,
জুতো জোড়ার
একটি ব্যালকনিতে—
আরেকটি খাটের নিচে!
কবি মাঝরাতে বাড়ি ফেরে এখানে—সেখান
আড্ডা দিয়ে,
তুমি তখন ঘুমকাতর চোখে চেয়ে ভাবো—
আর নয়, এবার না হয় কোথাও যাবে চলে সবকিছু
ছেড়ে!
পরক্ষণেই সে ইচ্ছেটাও মরে যায়।
ছাড়তেও চায় না মন, ধরতেও অরুচি হয়!
আগোছালো এই মানুষটাকে নিয়ে যখন জীবন
অতিষ্ঠ খুব
কী আর করবে—!
কান ঝালপালা বাক্যবাণে অভিশপ্ত করবেÑ
হাতের কাছের এটা—সেটা ছুঁড়ে ফেলে
দেবে...
তাতে হয়তো গায়ের জ্বালা জুড়াবে
অন্তত কিছুটা সময়।
তবে এসবের জন্য একদিন দুঃখ পাবে তুমি।
যেদিন কোথাও খঁুজে পাবে না খাবার
টেবিলে,
না সকালে প্রাতঃভ্রমণে, টিভিরুমেও না।
যেদিন লেপের নিচেও অলস সকালে ঘুম চোখে
জড়িয়ে ধরবে না কেউ তোমাকে!
খুব কাঁদতে হবে, খুব কষ্ট পেতে হবে
সেদিন তোমায়!
সেদিন যদি বসন্ত থাকে,
ফাল্গুনের সেই উদাস রঙিন দিনে হাত
বাড়িয়ে দিও,
দুই চোখে সাগরের তৃষ্ণা নিয়ে চেয়ে
দেখো,
পেলেও পেতে পারো খুঁজে হয়তো