তুমি আমার কবিতা মানবী
তোমাকে চিনতাম না আমি কোনোকালে
তুমিও ছিলে না আমার কেউ।
হঠাৎ কেন এমন হলো এই পড়ন্ত বিকেলে,
বাঁধভাঙা জোয়ারের উল্লাসিত ঢেউ?
তুমি তো ছিলে না আমার কেউ!
তোমার প্রতীক্ষায় কেটে যায় দিন!
অপেক্ষায় যখন নিজের মধ্যে লীন
মাঝে মধ্যে উঁকি দিয়ে যাও
কী তুমি নিতে চাও? কী দাও
ম্যাসেঞ্জারের পাতায়!
অথবা টেলিফোনে বলে ওঠো, ‘কেমন আছ তুমি?’
কেমন আছি সেকথা না বলে মিথ্যে বলি আমি!
পাছে তুমি কষ্ট না পাও!
বুকের বাঁ-পাশটায় চিনচিনে ব্যথার কষ্ট বাড়ে
ওষুধে এসব কখনও না সারে।
দম বন্ধ করা কষ্ট, হৃদয় ভারাক্রান্ত দুঃখ ভুলতে
তোমার আঁচলে জড়াতে চাই
তোমার কি সেটুকু সময়ও নাই!
একই কথা বার বার বলি, কবে আসছ তুমি
কবে দেখা হচ্ছে প্রথমবার?
তুমি বলো, কেন বলেছি তো বার বার
চন্দ্রিমায় দেখা হবে ঈদের পর পর!
সেই চন্দ্রিমা! যেখানে একলা শালিক কাঁদে
যেখানে মাছরাঙা পাখি বসে থাকে,
কৃষ্ণচূড়া যেখানে বিলাপ শোনে-
ঝরা পাতার!
আর বুকের মধ্যে বাজে শূন্যতার তীব্র হাহাকার!
চন্দ্রিমার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বাতাস খুব ভারী
তবুও তা এড়াতে না পারি!
বুকের জমাট রক্ত সচল করতে প্রতিদিন
এখানেই নিঃশ^াস ছাড়ি।
সেই চন্দ্রিমায়ই তুমি আসবে কৃষ্ণচূড়া ঠোঁট
পরনে বাসন্তী শাড়ি...!
আমার বুকের মধ্যে হাজার তারার আকাশ
জ¦লজ¦ল করে লক্ষকোটি তারা,
কত পূজার অর্ঘ্য সাজাই প্রতিদিন মনে মনে
তবু পূজা হয় না সারা।
এই মন যে তোমাতেই পাগলপারা!
দেবতার আসন শূন্য এখানে, এখানে কেউ নেই
শুধু তুমি ছাড়া!
তুমি আমার সব—আমার দেবতা-আমার দেবী
কবি কবিতা মানবী,
দিন নেই, রাত নেই, বছরব্যাপী
বুকে সেঁধে রও হয়ে ভেনাসের অদ্ভুত ছবি!
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা