দুঃখ মানেই কবিতার উৎসব


দুঃখগুলো ছুটি নিয়েছিল অনেকদিন আগে।

কবিতারা তাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে

আমি এখন নিঃসঙ্গ—খুব একাকী; 

এখন বাউণ্ডুলে বাতাস হু-হু করে কেঁদে ওঠে মধ্যরাতে,

কড়িকাঠে মৃত জোছনার শবদেহ গন্ধ ছড়ায়;

আমার অস্তিত্বকে বিদ্রুপ করে যাযাবর জোনাক

এই দুঃসময়ে তোমাকে খুব দরকার—

তুমি মানেই দুঃখ, তুমি মানেই ক্লান্তি...। আর

দুঃখ মানেই কবিতার উৎসব।


ভুল করে তোমাকে যে দুঃখ দিয়েছিলাম একদিন,

একদিন রাতভর কেঁদেছিলাম যে কারণে—

সেসবের জন্যই এখন আমার আক্ষেপ;

সেসবের জন্য দুই কান খুলে রাখি—

এই বুঝি দুঃখগুলো পায়ে পায়ে হেঁটে এসে

দক্ষিণের জানালা খুলে দেবে;

আহা, কতদিন দক্ষিণের জানালা খোলা হয় না আমার!

কতদিন কবিতার সঙ্গে দেখা হয় না!

 

দুঃখ মানেই কবিতার উচ্ছ্বাস—কবির রুক্ষ চুলে

বাউরি বাতাস; দুঃখ মানেই দগ্ধ চুরুট, ন্যাপথলিনের

তীব্র ঘ্রাণ, শাড়ির ভাঁজে আরশোলার উচ্ছিষ্ট—

তোমার হাহাকার, দুঃখ মানেই তোমার দুই চোখে

লেপটানো কাজল, এবং 

তুমি মানেই দুঃখ, তুমি মানেই ক্লান্তি...। আর

দুঃখ মানেই কবিতার উৎসব।


১৬ আগস্ট, ২০১৮
পুরানা পল্টন, ঢাকা

কাব্যগ্রন্থ: ভালো থেকো নন্দিতা
 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url