আমি কখনও গুডবাই বলি না
তোমরা কেউ-কেউ যখন বিদায় নিয়ে চলে যাও
ছলছল চোখে উদ্বেলিত হৃদয়, থর-থর ঠোঁটে তখন কী আকুতি!
বুকের পাহাড় থেকে ধসে পড়ে সবুজাভ উদ্ভিদ
বিষাদের অন্ধকারে বিদায়ের সুর অসহ্য যন্ত্রণায় যখন
কণ্ঠ রুদ্ধ করে—আমি তখনও গুডবাই বলি না।
চোখে আমার তখন সাগরের দারুণ তৃষ্ণা,
তোমরা চলে গেলে সে সমুদ্র শুকিয়ে পাথর হয়—
দাবানলে পুড়ে ছাইভস্ম হয় অস্তিত্বের বাগান,
মরা পোড়ানোর তীব্র দুর্গন্ধে বাতাস বন্দী হয় যমালয়ে,
লোকালয় ছেড়ে সব পাখি উদ্বাস্তু হয়, দিকভ্রান্ত
তোমাদের দেখে আমি তখনও গুডবাই বলি না।
দুই হাত তুলে ঈশ্বরের দরবারে বিনীত স্তবগান গাই—
আমার সকল গান, কবিতার অন্ত্যমিল, রূপকÑউৎপ্রেক্ষা
ক্ষোভে-দুঃখে আত্মাহুতি দেয়;
নক্ষত্রের রাতে সব তারা নিভে যায়—কলঙ্কিত চাঁদ
ঢেকে যায় মেঘে, তখনও আমি গুডবাই বলি না।
পরাবাস্তবতার স্বপ্নে বিভোর আমার রাত কাটে,
বছর কেটে যায়, তোমরা যখন চলে যাও, তখন
আমি আর মানুষ থাকি না; গুডবাই তো মানুষের
জন্যে, আমি তো মানুষ ছিলাম না তোমাদের কাছে!
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা