এই তুমি আর সেই তুমি নও
জল গড়িয়েছে অনেক-পদ্মা থেকে মেঘনায়,
সবুজ-শ্যামল বন ঘরগেরস্থালিতে উজাড়;পুতুলের বিয়ে-ভাঙা কিশোরীর বার্ধক্যের কবর
ঢেকে রেখেছে বাঁশঝাড়।
আয়নায় দাঁড়িয়েও দেখো না কখনো!
চোখ আর মহাকাব্য রচে না-অদ্ভুত জীবন!
ভয়, নাকি নিজের প্রতি অনীহা,
ভালোবাসা নাকি অবহেলা...
দিন কাটে ধূসর চোখে চেয়ে ছায়াময়
ছাতিম গাছের নির্দিষ্ট বৃত্তে...
মানুষ বৃত্তবন্দী হতে চায় না, তবুও হয়!
মানুষ বদলায়-
আমরা হোমো সাপিয়েন্সের উত্তরপুরুষ!
ঈশ্বরের খেরোখাতায় মানুষের অজ্ঞতা
অকৃতজ্ঞতার কথা লেখা থাকে অমোচনীয় কালিতে,
অন্ধকার ছেড়ে বেরুতে পারে না মানুষ
তুমি এবং পৃথিবীর তাবৎ প্রেমিক;
ভালোবাসা একান্ত ঈশ্বরের, মানুষের নয়।
বিভ্রাট সর্বত্র...সর্বত্রই চলে সংহার অনাদী,
আমরা দ্বিখণ্ডিত হয়েছি বহু আগে-
কেউ আর আগের মতো নই...
লাশগুলো হেঁটে-হেঁটে অহংকারের ইতিহাস
লিখে রাখে, ইতিহাস বস্তাবন্দী ভুল!
৯ নভেম্বর, ২০২৩