এইসব যাযাবর দিনে
কেমন করে যেন জানালাগুলো বন্ধ হয়ে যায় ধীরে-ধীরে।
বিষবৃক্ষের শেকড়গুলো হৃৎপি- বিদীর্ণ করে
রক্তপাত ঘটাতে বদ্ধপরিকর!
এখন এই দুঃসময়ে—
কারও ওপরই আর ভরসা করা চলে না যখন, তখন
তোমাকেও দেখি না আর আগের মতো
দুই চোখের দারুণ ব্যাকুলতায়।
কতশত স্মৃতি আছে আমাদের, কত জোনাক-জ্বলা সন্ধ্যা,
কত বৃষ্টিমুখর রাত, রাত গভীরে টিনের চালে শিশিরের
কোমল শব্দ! সে আর কে মনে রাখে!
তুমিও যাযাবর পাখি আমারই মতো ঘরহীন জানালার শার্সিতে
দাঁড়িয়ে থাকো অন্য কারও প্রতীক্ষায়!
কার জন্য প্রতীক্ষা তোমার উৎকণ্ঠার দেয়াল জুড়ে
স্বরলিপি লিখে রাখো, কার জন্য সকাতর ভায়োলিন
বেহাগে বিপন্ন হয় অদৃশ্য স্পর্শে?
সে কি আমি! অধরা-মুখরা তুমি অন্ধকারে জোনাকির
আলো হয়ে জ্বলে ওঠো বদ্ধ জানালার ওপারে
হঠাৎ কোনো এক বসন্তে।
বাসস, পুরানা পল্টন, ঢাকা
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা