তুমি সাড়া দাওনি


কতবার তোমাকে ডেকেছিলাম আমি, তুমি তখন দরোজার ওপাশে

ঘুমকাতার চোখে ‘উঁহ’ বলে কোলবালিশটা জড়িয়ে কোথায় যে

হারিয়ে গেলে! আমি ডাকতে-ডাকতে বিবর্ণ বিষাদে অস্থির হয়েছিলাম;

তুমি তখনো সাড়া দাওনি!


তুমি সাড়া দাওনি! তুমি সাড়া দাওনি তাই—

মধ্যাহ্নে একটি প্রজাপাতি খুন হলো, একটি গাঙচিল ডানা হারাল,

একটি দোয়েল শিষ দিতে গিয়ে বেসুরো বাজাল স্বরলিপি;

একটি সকাল ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইল চন্দ্রিমা উদ্যানে, যাযাবর বাতাস

ফিরে গেল মন খারাপ করা বার্তা নিয়ে কোন এক অচিন দেশে!


তুমি সাড়া দাওনি! তুমি সাড়া দাওনি তাই—

উচ্ছ্বল কিশোরীর নীল জামা কালো রঙে ছেয়ে গেল হঠাৎ করে

কৃষ্ণচূড়া রঙ-ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে গেল কী এক বিদ্রুপে;

মগ্ন কবির হাত থেকে কলম খসে পড়ে গিয়ে সুখের জায়নামাজে

লিখল বিচ্ছেদের দিনলিপি!


তুমি সাড়া দাওনি! তুমি সাড়া দাওনি তাই—

গ্যালাক্সি থেকে আস্তে-আস্তে হাজার তারা উধাও হলো কৃষ্ণগহ্বরে,

পৃথিবীর সব আলো নিভে গিয়ে প্রেতপুরিতে নির্বাসিত হলো ভালোবাসা,

আর তরুণ-তরুণীরা বিষাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে

এগিয়ে গেল তাজমহলের দিকে!


মোহাম্মদপুর, ঢাকা
২৮ আগস্ট, ২০১৯
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url