তোমাকে জানা হলো না
বিশ্বাস ছিলো কোজাগরী জোছনা ভিজিয়ে দেবে আরও একবার
আরও একবার উঠান জুড়ে নেমে আসবে মুগ্ধ সোনালী আকাশ।
যখন পাখির ডানার উৎসবে সকাল হবে—শাড়ির আঁচল ছুঁয়ে যাবে
সোনা রোদ, উৎসব-উৎসব মুখে তুমি দাঁড়াবে সম্মুখে তখন।
এক আকাশ ইচ্ছে নিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে তোমার দুয়ারে পৌঁছে
গেলাম যখন, দেখলাম মৃত সাগরে ডুবে গেছে জোছনার চাঁদ
আকাশ জুড়ে শুধু আর্তনাদ, করুণ বিলাপ বিসমিল্লাহ খাঁর
সানাইয়ের। পাখিগুলো ঝিমুচ্ছে মৃত গাছের শুকনো ডালে...
শাড়ির আঁচলে উচ্ছিষ্ট লেপ্টে আছে যখন দম আটকানো দুর্গন্ধে;
তখনও তোমার দুই হাতে যাযাবর সময়কে তুলে দিয়েছিলাম!
তখনও তোমার চোখের পাতায় স্বপ্ন এঁকেছিলাম খুব যতœ করে
তখনও তোমাকে মানুষ ভেবে ভুলই করেছিলাম স্বভাব দোষে!
আমার জানাই হলো না তোমার বুকের মধ্যে হৃদপি- আছে কিনা!
অক্সিজেন ছাড়া তুমি একটি মৃত লাশ, ভালোবাসার ছিটেফোঁটাও
নেই তোমার মধ্যে এখন আর! এখানেই দুঃখ আমার, তোমাকে
না চিনতে-চিনতেই একটা জীবন শেষ করে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে হলাম!
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
কাব্যগ্রন্থ : এই বসন্তে তুমি ভালো থেকো