না, যেয়ো না
হঠাৎ কোথায় যেন বজ্রপাত বিদ্যুৎ ভয়ার্ত কলরব!
ঘুম ভেঙে জেগে দেখি তুমি নেই!
কেউ নেই চারপাশে—আমি নিঃসঙ্গ একাকী!
মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়—
যন্ত্রণার পরাভব।
দূরে কোথায় তোমার প্রচ্ছায়া মিলিয়ে যায় ধীরে-ধীরে
আমি সকাতর দুই হাত প্রসারিত করে
ব্যাকুল উন্মাদনায় ডাকি তোমায়;
তখন দূরে নিভে যায়—
পঞ্চমীর পা-ুর চাঁদ।
যখন ছিলে তুমি ব্যাকুল দুই চোখে ছিল অযুত
জোনাকের আলো
দুই হাতের করতলে ছিল মায়াবী জোছনা
ঝলোমলো,
কালো চুলের উন্মাদনায় বাতাস ছিল
খুব অস্থির, চঞ্চল।
তুমি ছিলে স্বপ্ন ছিল, সঙ্গীত ছিল—
ঝড়ের রাতে বাতাসে ছিল নূপুরনিক্কণ,
মুগ্ধ ক্যানভাসে আঁকতাম তোমাকে নীল আর কালো
রঙের পোশাকী অলঙ্কারে!
এখন পা-ুর চাঁদ গলে পড়ে লজ্জিত আঙিনায়
বিবস স্বপ্নরা পালিয়ে যায় দূর থেকে দূরে
হাত বাড়াই আঁচল ধরে টেনে নিতে,
তোমার তীক্ষè দৃষ্টিতে গুটিয়ে যাই নিজের ভিতর লজ্জায়!
এত-এত উচ্ছিষ্ট আমার আঙিনা জুড়ে!
তবু চলে যাওয়া জোছনায় তোমাকে দেখে
আরো একবার জেগে উঠে দুই হাত জোড় করে বলি—
অপবাদ যত দাও, তবু যেয়ো না কখনো
আমাকে ছেড়ে!
ঢাকা/২৪ আগস্ট, ২০১৯
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা