অথচ কেউ তা জানে না
আমার চেতনার ভূভাগ যখন অনাবৃষ্টিতে পোড়ে
সবগুলো তারা ঢেকে যায় গাঢ় অন্ধকারে
শুকপাখিগুলো লাশ হয়ে পড়ে থাকে ইচ্ছে জমিনে
তখন তোমাকে কাছে পেতে
খুব ইচ্ছে করে।
আমার ইচ্ছেগুলো কৈশোরের লাল-নীল ঘুড়ি
পঞ্চমীর চাঁদ হয়ে ডুবে যায়।
বিষণœ বাতাস হু-হু করে কাঁদে
বিপন্ন ইচ্ছের পানশি মাঝিহীন—
তীর খুঁজে ফেরে।
তোমাকে কাছে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতায় দিকভ্রষ্ট আমি
গানের সুরে এবং কবিতার
শরীর নির্মাণে অস্থির হই,
ইচ্ছের নামাবলি পোড়ে
দিনরাত—কেউ তা জানে না!
তুমিও জানো না, আমার চেতনায় ক্রুশ কাঁটা হয়ে
বিঁধে আছো আমার অস্তিত্বে;
লীন হয়ে আছো
জড়িয়ে আছো—
ছড়িয়ে আছো রৌদ্রদগ্ধ
ফসলী ক্ষেতের মতো;
অথচ কেউ তা জানে না, কেউ না...
৮ আগস্ট, ২০১২
ঢাকা
কাব্যগ্রন্থ : কেউ তা জানে না
ঢাকা
কাব্যগ্রন্থ : কেউ তা জানে না