বিদঘুটে অন্ধকার একটি দিন


আজ সারাটা দিন ছিল বিদঘুটে অন্ধকার।

কার যেন একরাশ উষ্কখুষ্ক চুল তার পেলব মুখশ্রী ঢেকে দিয়ে

খুব বিদ্রুপ করেছিল বসন্ত বাতাসকে!

বসন্ত তার মুখ লুকালে কোকিল পঞ্চমী সুর ভুলে গিয়ে

মগডালে খুব অভিমান করে মুখ লুকিয়েছিল নিজের আস্তিনে।

আজ এমন অভিশপ্ত দিনে তোমার রাজসিক উপস্থিতি থেকে

বঞ্চিত আমি খুব মন খারাপ করা গানের সুরে

কেঁদেছিলাম; কেঁদেছিলাম খুব নির্জনে একাকী— !


আমার বুকের মধ্যে একগুচ্ছ হাহাকার নিয়ে কতবার যে

তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়েছি, কতবার দরজায়

আঙুলের টোকা দিয়ে তোমাকে ডেকেছি প্রাণপণ—

সেসব কবিতার খাতায়ই শুধু শোভা পায়;

আজ এই পড়ন্ত বিকেলে সেসবের জন্য কোন নির্ঘণ্ট

বেঁধে দেয়নি কেউ; তাই খুব বেমানান বেরসিক আমি

নিজের মধ্যে লুকিয়ে থেকেও দুই কান উৎকীর্ণ করেছি—

কেউ আমার কখনও ডেকে গেল কি!


ভুল, সবই ভুল—এই ইচ্ছেঘুড়ি, হাজার তারার আকাশে 

জম্পেশ আলোকসজ্জা, দূরে—দূরে কোথাও বালুচরে

ঘরবাঁধার দুঃস্বপ্ন আর মোহবিষ্ট রুপালি চাঁদের রাত, উচ্ছ্বল সকাল

সবই কল্পনার ফানুস! ভুল, সবই ভুল—এই তৃষ্ণার্ত আকুতি!

তুমি আমি, সবাই নিঃস্ব এই অলীক মরুভূমে

নিঃসঙ্গ একাকী!


মোহাম্মদপুর, ঢাকা
১৮ মার্চ, ২০১৯

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url