স্বপ্নের কথাই বলি
কে যেনো বললো, এখানে বৃষ্টির ফোঁটায় এখনও জীবন ভিজে যায়!
বললো, এখানে এখনও বাঁশঝারে ঝিঁঝিপোকার উৎসবের
রঙ ছুঁয়ে যায় অন্তরের কানাগলি।
বললাম—এখনও বুঝি?
বললো—ভুলে বসে আছো সব? নিজেকেও!
‘সত্যিই তাই’—এ কথা কী করে বলি! তার অস্থির চোখ থেকে
নিজেকে সরিয়ে নেই লজ্জায়।
কতোশত দিন গেছে বৃষ্টিহীন চৈত্রের নিদাঘে,
বসন্তে পুড়েছে বন-বনান্ত, গাছপালা প্রান্তর ফুলহীন-শস্যহীন,
ক্রোধে নিজের রক্ত নিজেই করেছি পান দুই হাত ভরে...
এখন এই অবহেলায় কার কথা মনে থাকে আর!
কে আর করতলে সূর্য তুলে আনে!
একদিন শেষবেলায় ধানক্ষেতের পাশে দেখা হয়েছিলো বুঝি,
কথা হয়েছিলো অস্থির বর্ণমালায় তার সাথে,
যখন আকাশ থেকে দলছুট তারা খসে পড়ছিলো পৃথিবীর পথে,
যখন নিশাচর পাখি ডানায় তুলে নিয়েছিলো জীবনের উৎসব,
যখন হৃদয় দিয়ে বুঝেছিলাম হৃদয়ের বর্ণিল উত্তাপ!
এখন সেসব শুধু দুঃস্বপ্নের কোরকে হানা দেয় মাঝে-মধ্যে,
মধ্যরাতে এখন বিদ্রুপের মেঘমালা ছেয়ে যায় জীবনের উল্লাস,
এখন পালিয়ে বেড়াতে প্রতারণার গীতিকাব্য রচিত হয় নিরন্তর,
এখন মদ্যপ শহর রাত শেষে জেগে ওঠে বেঁচে থাকার আকুল প্রয়াসে...
এখন জীবন মানেই বেঁচে থাকা, না স্বপ্ন—না সুখ, না অন্যকিছু।