শেষ বিকেলের সঙ্গীত


যদি বলি এসো বৃষ্টির জলে সিক্ত হই

চাঁদের আলোয় স্নাত হয়ে কর্পূরের মতো মিলিয়ে যাই,

কিংবা ধরো যদি বলি তোমার দুচোখের তাপে দগ্ধ করো

পুড়িয়ে দাও আমাকে; তখন তুমি কি গোধূলির আলোর মতো

মিলিয়ে যাবে তাচ্ছিল্যের ব্যাকরণ হয়ে!

এসব ভাবনার মধ্যেই নিজেকে হারাই এখন।


এখনও সন্ধ্যা তারায় পথের নিশানা ঠিক রেখে 

হেঁটে হেঁটে চলে যাই ধুলিধূসরিত নিষিদ্ধ আঙিনায়;

পাষাণের পাথরের চৌহদ্দি মাড়িয়ে উঁকি দেই অজান্তে,

যেখানে তোমার কিশোরী দুই ঠোঁটের অদ্ভুত অস্থিরতা

অব্যক্ত কথামালা দরবারি কানাড়ায় বেজে ওঠে,

শুনে আমিও যন্ত্রণায় দগ্ধ হই অস্থির অলক্ষ্যে।


কত কথা যে হয়নি বলা সে তুমিও জানো।

আজ আবার সেসব পুরানো-প্রাচীন কথার তোড়ে

ভেসে যেতে ইচ্ছে করে; ইচ্ছে করে আরও একবার

কৈশোরের মতো কোন এক সন্ধ্যায় কিংবা মধ্যরাতে

তোমাকে বুকের মধ্যে টেনে নিতে ।


এসব ইচ্ছেগুলো বাতাসে ভর করে ভেসে বেড়ায়

পুরানো কথা আরও পুরানো হয়ে বুকের মধ্যে রয়ে যায়।


২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো নন্দিতা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url