নিঃসঙ্গতার আগুন

 

সে এসেছিল একদিন অলক্ষ্যে-নিঃশব্দে। 

তারপর মুখ ভারকরা মেঘেদের রাজ্যে ফিরে গেছে!

যেতে-যেতে সজল দুই চোখে প্রতীক্ষার ইশ্তেহারে

লিখে গেছে অভিমানের দিনলিপি।


ফুলের রাজ্যে-পাতার রাজ্যে হাহাকার ওঠে,

গোলাপের বনে বিরহী বুলবুল নিশ্চুপ

বসে থাকে নিঃসঙ্গ একাকী। 

যন্ত্রণার রাত গভীর হলে অন্ধকার গ্রাস করে চরাচর,

খেয়াঘাটে অস্থির মাঝি ভোরের প্রতীক্ষায় দিন গোনেÑ

সকাতর চোখ খুঁজে ফেরে জীবন-যৌবনের পুষ্পিত উদ্যান;

কবে আসবে, নাকি আর আসবে না আর—

এই ভেবে-ভেবে

বুকের মধ্যে অগ্নিগিরির লাভা ছড়িয়ে পড়ে।


সেই উত্তাপে ফাগুনের কৃষ্ণচূড়া লাল হয়, পলাশ রক্তিম ঠোঁটে

চুমো খায় ভোরের শিশিরের, প্রেমকাতর ফাগুনী হাওয়া কাঁপন

জাগায় মননে-

এমন দক্ষযজ্ঞ ফাল্গুন,

এমন বিরহী বাতাসে মন বুঝি পোড়ে না তোর?

সেসব ভাবতে ভাবতেই—

প্রতিটি ফাল্গুন বিবর্ণ হয় আমার। আমি একাকী পুড়ি

নিঃসঙ্গতার অনলে।


 মাহাম্মদপুর, ঢাকা
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো  নন্দিতা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url