কেন তাকাও অন্যজনে?


অমন করে কেন তাকাও অন্যজনে?

কী খোঁজো আমাকে রেখে অন্তরালে!

তোমাকে দিয়েছি উর্বর জমিন হৃদয়পুর, আদিগন্ত আকাশ-মন,

নন্দিতা, তোর ছায়াচিত্র আঁকছি দিন-রাতখুব যত্ন করে।

আর কী বাকি আছে দেয়ার? ঘর নেই-সংসার নেই--

বিত্তবৈভব এসবে রোচে মন আর,

কী দিয়ে আর অর্ঘ্য সাজাই এই শেষ বিকেলে!


বাকি রয়ে গেছে স্পর্শের সুখ- তাও না হয় দেবো,

একটু উষ্ণতার পাপ—তাও না হয় দিলাম অক্লেসে

তোর জন্যে আকণ্ঠ ডুবেছি আমি, জীবনকে তুচ্ছ ভেবে

পানপাত্রে ডুবিয়েছি ঠোঁট হেমলক সম, 

বাকিটা না হয় ডুবে গেলাম তোর কারণে!

তোর জন্য না হয় সমাজ-সংসার উচ্ছন্নে দিয়ে

ডুবে গেলাম অন্ধকারে!


নন্দিতা, তোর চোখ দুটি, কৃষ্ণচূড়া রং ঠোঁট শুধু আমার।

দীর্ঘ কালো চুল, মসৃণ গ্রীবা, কপোলের তিল

তোর অনামিকায় লাল আংটি- দুষ্টুমি হাসি, গালের টোল—

আমারই সব—কথা দিয়েছিলে চৌদ্দ ফেব্রুয়ারি

ভালোবাসার দিনে!

তাহলে কেন তাকাও চুপি-চুপি অন্যজনে?


বাসস, পুরানা পল্টন, ঢাকা
১৪ আগস্ট, ২০১৯
কাব্যগ্রন্থ : ভালো থেকো  নন্দিতা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url