ত্রিশ বছর


আমাকে কখনও ছুঁতে পারনি তুমি, আমিও না তোমাকে,

একটু উষ্ণতার আশায় ত্রিশ বছর কাটিয়ে অবসন্ন আমি

এখন স্মৃতির উঠানে দাঁড়িয়ে ছুঁয়ে দিই তোমাকে কারণে

অকারণে; এসবে আর কারো কিছুই যায় আসে না এখন!

 

পাখির ডানা থেকে খসে পড়ে পালক—উড়ে যায় পাখি,

ঝরনার জল মেশে নদীতে গিয়ে—ঝরনা নিরন্তর বয়ে চলে, 

ধূলিধূসরিত পায়ে আমরাও হেঁটে-হেঁটে পথ নিঃশেষে

স্বপ্নের কড়িডোরে দাঁড়াই—কেউ কখনও তা জানে না!


পথের পাশে দাঁড়িয়ে কোনো কিছুর ছলে তোমাকে দেখার

সেসব দিন চৈত্রের পাতার মতো ঝরে গেছে সেই কবে!

এখন সেসব ঝরা পাতার কান্না বুকে বাজে মাঝে-মাঝে;

কেন জানি আগের মতো তোমাকে দেখার ইচ্ছেও জাগে!


কতটা বরষা গেলে—শরৎ, হেমন্ত আর শীতের শেষে

কত বসন্ত চাঁদের আলোতে পথ চিনে অদৃশ্য হলো,

অথচ ত্রিশ বছরেও তোমার কাছে যাওয়া হলো না;

আমাকে তুমিও ছুঁতে পারলে না, আমিও না তোমাকে!


১৭ আগস্ট, ২০১১
ঢাকা
কাব্যগ্রন্থ : এই বসন্তে তুমি ভালো থেকো
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url