এখন অসময় খুব


মাঝে-মধ্যে কী যে হয় আমার! নিজেকে চিনতেই ভুল হয় যখন—

তোমাকে দেখি দরজায় কিংবা জানালায় দাঁড়িয়ে আছো।

বৃষ্টির জলে ভিজে যাচ্ছে চুল, আকাক্সক্ষার বিনাশী চোখে অদ্ভুত

পায়রা ওড়াও তখন তুমি। কী দেখো অমন করে? 

কেনো এই বেহিসাবী তাচ্ছিল্য তোমার?


এখন অসময় খুব—কেউ কারো জন্যে নয়;

অহংকারের জীর্ণ দেয়ালে পলেস্তরার আর্তনাদ শুনি—যখন

তুমি উল্লাসে হাততালি দাও আগের মতোই;

কেনো ভুলে যাও, এখন পাতা ঝরার দিন।


অসময়ের নৈবেদ্যে কারো কোনো আগ্রহ থাকে না, থাকার নয়;

পূজার থালায় অসংখ্য মৃত জোনাক মুখথুবড়ে পড়ে থাকে,

ইচ্ছের জমিন এখন অনাবাদী, প্রচ- দাবদাহে পুড়ছে

ফসলী ক্ষেত...


এমন অসময়ে তুমি দেবী—না মানবী, অমন করেই

দাঁড়িয়ে থাকো; বাতাসে বাজুক পাতার নূপুর, আর আমিও

বেহিসাবী মানুষ ঘর-সংসার সব সিঁকেয় তুলে

শুধু তোমাকেই দেখতে থাকি!


কী যে হয় আমার মাঝে মধ্যে, নিজেকেই নিজে চিনতে পারি না!


২৯ মে, ২০১৫

বাসস, ঢাকা

কাব্যগ্রন্থ : এই বসন্তে তুমি ভালো থেকো

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url