সুখ আমার সয় না কিছুতেই
তুমি বলেছিলে একটি সুখের কবিতা লিখতে!
আমি জানতে চাইলাম—সুখ কই? কোথাও তো দেখি না তারে!
তারপর তুমি দুই হাত প্রসারিত করে টেনে নিলে কাছে,
উষ্ণ ব্যাকুল ঠোঁটে তৃষ্ণার দাবানল ছড়িয়ে বললে—
এই তো সুখ, সুখের ঘ্রাণ পাও না বুকের মধ্যে?
এ আর নতুন কী! কতোবার তুমি কস্তুরির সুবাস ছড়িয়েছো,
কতোবার পানপাত্র তুলে দিয়েছো কাঁপা হাতে
আদিমতার মধ্যে সুখ ফেরি করা তোমার স্বভাব,
আমি অন্য কিছু চেয়েছিলাম, ঠিক তোমাকে এমন
নির্লজ্জ করে নয়—আদিমতায় সুখ হয় না কখনও।
আকাশে তখন শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ মেঘের আস্তরে ঢাকা
আকাশে তখন আদম সুরাত, সপ্তঋষি মূক ও বধির,
এমন কি বাতাসও ছিলো অচঞ্চল সেইদিন,
তুমি দেহের বসন একটু-একটু করে খুলে দিলে
আমি ঘৃণায় মুখ ফিরালাম...
আমি কোনো সুখের কবিতা লিখতে পারিনি কোনোদিনই,
কখনও লেখা হবে না একটিও সুখের কাব্য।
পুড়ে-পুড়ে সোনা খাঁটি হয় জানি; আঘাতে-আঘাতে
নিপুণ শিল্পকর্ম প্রাণ পায় বিদগ্ধ শিল্পীর হাতে।
আমি কষ্টের দাবদাহে কবিতার জন্ম দিতে পারি
সুখ আমার সয় না কিছুতেই।
২৮ এপ্রিল, ২০১৫
মোহাম্মদপুর, ঢাকা