অডিও-ভিডিও : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘ সুভাষিণী ’
‘সুভাষিণী’ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিখ্যাত একটি গল্প। এক সময় কিশোরী সুভাষিণীর সঙ্গে পরিচয় হলেও লেখক তাকে কখনোই ভালোবাসেনি, বা ভালোবাসার কথা তার মনেও আসেনি। অথচ সেই কিশোরী বয়সেই সুভাষিণী লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে। তারপর দীর্ঘজীবন শেষে একবার দেখা হয় সুভাষিণীর সঙ্গে, তখন লেখকের স্মৃতিভ্রম হয়েছে। অনেক কিছুই মনে করতে পারছে না সে। তাদের দীর্ঘ আলাপ আলোচনায় লেখক কিছুটা স্মৃতি ফিরে পায় এবং সুভাষিণীকে চিনতে পারে। অতীত জীবনের অত্যন্ত রোামন্টিক ঘটনার এই গল্পটি পাঠকের ভালো না লেগেই পারে না। কবি ও গীতিকার নাসির আহমেদ কাবুলের সরস পাঠে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠেছে। গল্পটি শুনতে পাবেন ধানসিঁড়ি ইউটিউব চ্যানেলে। www.youtube.com/@dhansiri2024
সুভাষিণী গল্পের লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ) জন্মগ্রহণ করেন—যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময় তাঁর পরিবার কলকাতা চলে আসে। এই সময় রেলওয়েতে চাকুরিরত পিতার সঙ্গে তিনি অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।
তাঁর প্রথম গল্প জলতরঙ্গ শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাত বছর পরে সেই একই পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তাঁর প্রথম উপন্যাস ঘুণ পোকা প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথম উপন্যাসের নাম মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি।
অডিও-ভিডিও’র লিংক :
https://youtu.be/BsCuooCmU4M?feature=shared